
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা হাইওয়ে থানার এএসআই ছাত্তার’র বিরুদ্ধে চাঁদা নিয়ে অটোরিকশা ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) থেকে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) পর্যন্ত বাধ্য হয়ে চাঁদা দেওয়া ভুক্তভোগী কয়েকজন রিকশাচালক জানিয়েছেন, মহাসড়কের কাছে গেলেই মাওনা হাইওয়ে থানার পুলিশ রিকশা আটক করে থানায় নিয়ে যায়। টাকা নেওয়া ছাড়া রিকশা ফেরত দেয়না। টাকা নেওয়ার সময় কোনও রশিদও দেয়না। তারা আরও জানিয়েছে, ‘মাওনা চৌরাস্তা ইয়াকুব আলী মাস্টার টাওয়ারের উত্তর পাশে (কাঁচাবাজারের সামনে দিয়ে যাওয়া) আঞ্চলিক সড়ক থেকে ও পল্লী বিদ্যুৎ মোড় (অব দা) থেকে ৭-৮টি অটোরিকশা মঙ্গলবারে মাওনা হাইওয়ে থানায় নিয়ে যায় এএসআই ছাত্তার। পরে রিকশাপ্রতি চার হাজার টাকা করে নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। প্রতিদিনই রিকশা আটক করে দুই হাজার-ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদাবাজি করছে এএসআই ছাত্তার।

রোববার (১০ নভেম্বর) মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি মঞ্জুরুল হক যোগফলকে জানিয়েছেন, ‘রিকশা আটক করে টাকা নেওয়ার কোনও নিয়ম নেই। টাকা নেওয়ার বিষয়টা আমার জানা নাই, আমি ওরে ডাকতেছি, জিজ্ঞেস করতেছি।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এএসআই ছাত্তারের নিকট যোগফলের প্রতিবেদক টাকা নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোন রিকশাওয়ালা বলছে ওদেরকে আমার সামনে নিয়া আসেন। টাকা নেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, আপনি থানায় এসে দেখা করে কথা বলেন।’ তিনি আরও বলেন, কয়েকজন সাংবাদিক তার সঙ্গে দেখা করে গেছে।
উল্লেখ্য, এএসআই ছাত্তারকে টাকা দেওয়ার স্বীকারোক্তি ভিডিওতে ধারণ করা আছে।

গাজীপুর জোনের হাইওয়ে এএসপি মো. আব্দুল কাদের জিলানী যোগফলকে জানিয়েছেন, ‘কেইস স্লিপ ছাড়া টাকা নেওয়ার কোনও বিধান নেই। বিষয়টা আমরা খতিয়ে দেখবো।’