• মলাট
  • উপজীব্য
  • দুর্ঘটনা
  • খুনাখুনি
  • আড়চোখ
  • কোর্টকাচারি
  • ভিনদেশ
  • কাঠগড়া
  • ব্ল্যাকআউট
  • উন্নয়ন
  • শিল্পশালা
  • কারবার
  • কোমল
  • পরম
  • নির্বাচন
  • গণমাধ্যম
  • তথ্য প্রযুক্তি
  • প্রকৃতি

গাজীপুর শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, রাত ১১:৪৬

রেজি. ডিএ ৬০৮৪

যোগফল
Menu
  • মলাট
  • উপজীব্য
  • দুর্ঘটনা
  • খুনাখুনি
  • আড়চোখ
  • কোর্টকাচারি
  • ভিনদেশ
  • কাঠগড়া
  • ব্ল্যাকআউট
  • উন্নয়ন
  • শিল্পশালা
  • কারবার
  • কোমল
  • পরম
  • নির্বাচন
  • গণমাধ্যম
  • তথ্য প্রযুক্তি
  • প্রকৃতি

ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে যত আজগুবি কারবার

প্রকাশিত: 19:34, 16 November 2019

বনপ্রহরী মাহমুদার রহমান

বিশেষ প্রতিবেদন : লাগামহীন দুর্নীতি, রাজস্বের টাকা আত্মসাৎ ও বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্যের কারণে ডুবতে বসেছে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের বিভিন্ন কার্যক্রম। উদ্যানটির পার্ক বিট কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন বিতর্কিত বন প্রহরী (এফজি) মাহমুদার রহমান। প্রায় ৯ বছর ধরে তিনি একই বিভাগে কর্মরত আছেন।

অন্যদিকে বিভাগটির বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় (ঢাকা, মহাখালী) বন ভবনে কর্মরত আছেন বোটম্যান আফজাল হোসেন। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে নৌকা চালানোর জন্য ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ লেক থাকলেও বন ভবনে নৌকা চালকের (বোটম্যান) প্রয়োজন নেই। এ ধরনের আজব বিভিন্ন কাজকারবার এবং অকালীন বদলীনীতি প্রয়োগে বিভাগটি ভুগছে বহুমুখি সমস্যায়।

আরও পড়ুন > গাজীপুরে ‘কিস্তিতে ঘুষ’ নেন বনপ্রহরী মাহমুদার

যোগফলের অনুসন্ধান বলছে, ঢাকা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সাবেক বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (বর্তমানে সিএফ, পরিচালক, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট, ঢাকা) এএসএম জহির উদ্দিন আকন চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি একটি সাময়িক বদলির আদেশ দেন। ওই আদেশে বন প্রহরী মাহমুদার রহমানকে ভাওয়াল রেঞ্জের বারইপাড়া বিট থেকে জাতীয় উদ্যান রেঞ্জের পার্ক বিটে ‘অকালীন ও সাময়িক বদলি করেন তিনি।’ ওই সাময়িক বদলির আদেশের ১০ মাস পেরিয়ে গেছে। অথচ মাহমুদার রহমান সাময়িক ওই আদেশ নিয়ে পার্ক বিট কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন বহাল তবিয়তে।

বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বদলি সংক্রান্ত নীতিমালা, ২০০৪ ঘেঁটে জানা গেছে, ‘অনিয়মিত বদলি সরকারি শৃঙ্খলা পরিপস্থি।’ বন প্রহরী ও বোটম্যানদের দুই বছর অন্তর বদলি করতে হবে। এ ছাড়া কোনো কর্মচারীকে নির্ধারিত মেয়াদের পূর্বে বদলি করতে হলে মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে। বন প্রহরী ও বোটম্যান এক বিভাগে সর্বাধিক তিন বছর এবং এক সার্কেলে সর্বাধিক পাঁচ বছর নিয়োজিত থাকতে পারবেন। ‘একই কর্মস্থলে একই পদে দ্বিতীয় বার পদায়ন পরিহার করতে হবে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাবেক ডিএফও এএসএম জহির উদ্দিন আকনের আস্থাভাজন হিসেবে খ্যাত বোটম্যান আফজাল হোসেনকে বিগত দিনে ভাওয়াল রেঞ্জের বিকেবাড়ী বিটে বদলি করা হলেও সেই কর্মস্থলে মাত্র তিন দিন তার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। পরে তাকে মহাখালী বন ভবনে বদলি করে নিয়ে যান তৎকালীন ডিএফও।

আফজাল হোসেনের চাকরিনামার একটি ফাইল যোগফলের মর্গে রক্ষিত আছে। ওই ফাইল ঘেঁটে জানা গেছে, সাবেক ডিএফও এএসএম জহির উদ্দিন আকনের আমলে আফজাল হোসেনকে ভাওয়াল রেঞ্জের বারইপাড়া বিট থেকে ভবানীপুর বিটে বদলি করা হয়। পরে সেখান থেকে ‘বদলি সংক্রান্ত নীতিমালা উপেক্ষা’ করে তাকে ফের বারইপাড়া বিটে বদলি করা হয়। পরে তাকে সার্কেল বদলি করা হয়। অথচ রহস্যজনকভাবে অল্প সময়ের ব্যবধানে তিনি ফের জাতীয় উদ্যান রেঞ্জের পার্কবিটে পোস্টিং নিয়ে আসেন। পরে পার্ক বিট থেকে তাকে বিকেবাড়ী বিট এবং পরে সেখান থেকে নিজের দফতরে বদলি করে নিয়ে যান তৎকালীন ডিএফও এএসএম জহির উদ্দিন আকন।

বন বিভাগে বদলি সংক্রান্ত অনিয়ম এবং দুর্নীতির ব্যাপারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)’র গাজীপুর এরিয়া ম্যানেজার রাশিদুজ্জামান লিটন যোগফলকে বলেন, বিধি অনুযায়ী বদলির আদেশ না হলে বুঝতে হবে সেখানে দুর্নীতি হয়েছে। বন বিভাগের একজন কর্মকর্তা বা কর্মচারি একই এলাকায় দীর্ঘদিন চাকরি করলে তারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়তে পারেন। কে, কোথায় কতদিন ধরে চাকরি করছেন এই বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন বন কর্তারা খোঁজ রাখেন না। এটাও দুর্নীতি। কেননা দীর্ঘদিন ধরে কাউকে বদলি না করা হলে বুঝতে হবে সেখানে দুর্নীতি হচ্ছে এবং তাকে বহাল তবিয়তে রাখতে কেউ কেউ দুর্নীতি করছেন, আর্থিকভাবে সুবিধা নিচ্ছেন। এ ধরণের কর্মকান্ড বদলি সংক্রান্ত নীতিমালা বহির্ভূত এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

অন্যদিকে ভাওয়াল গড় বাঁচাও আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব ফেডরিক মুকুল বিশ্বাস জানান, বদলি নীতিমালা অনুসরণ না করায় দুর্নীতি বাড়ছে। একই এলাকায় বছরের পর বছর ধরে একজন কর্মরত থাকলে তিনি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। মূলত, ওই ব্যক্তি দুর্নীতি করতেই এলাকা ছাড়তে চান না। এই দুর্নীতিকে লালন পালন করছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

দেশে এতো বনাঞ্চল থাকতে গাজীপুরের ভাওয়াল বনে কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের পোস্টিংয়ে এতো আগ্রহ কেনো। টাঙ্গাইল অথবা সিলেটে যাদের বাড়ী সংলগ্ন বন আছে তারাও কেনো গাজীপুরে পোস্টিং চান। আবার বিগত দিনে গাজীপুর থেকে যাদের সার্কেল বদলি করা হয়েছে তারাও গাজীপুরে ফিরতে মরিয়া। কেউ কেউ আবার তদবির করে ফিরেছেন।

  •  
  •  Tweet

সম্পর্কিত সংবাদ

  • ‘ভোট নয়, পূর্ব শত্রুতার জেরেই সুর্বণচরে ধর্ষণ’‘ভোট নয়, পূর্ব শত্রুতার জেরেই সুর্বণচরে ধর্ষণ’
  • গাজীপুরে ‘প্রসূতি হত্যা’ করে দাম হাঁকাল ৭ লাখ!গাজীপুরে ‘প্রসূতি হত্যা’ করে দাম হাঁকাল ৭ লাখ!
  • দুর্নীতিতে ডুবেই আছে ‘কাপাসিয়া কলেজ’দুর্নীতিতে ডুবেই আছে ‘কাপাসিয়া কলেজ’
  • ‘ইউনিফর্ম খুলেই নিলেন’ এসপি সামসুন্নাহার‘ইউনিফর্ম খুলেই নিলেন’ এসপি সামসুন্নাহার
  • গাজীপুরে ‘বনের চেক স্টেশনও’ বেদখল!গাজীপুরে ‘বনের চেক স্টেশনও’ বেদখল!
  • শাস্তির বদলে পোস্টিং পেলেন এসআই মফিজ!শাস্তির বদলে পোস্টিং পেলেন এসআই মফিজ!

আর্কাইভ

ডিসেম্বর ২০১৯
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
« নভেম্বর    
 ১
২৩৪৫৬৭৮
৯১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
  • Recent
  • Popular

Jogfal

সম্পাদক ও প্রকাশক : আসাদুল্লাহ বাদল
  • আমাদের সম্পর্কে
  • যোগাযোগ
jogfal.news@gmail.com, info@jogfal.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
ট্যানান্সি ল’সেন্টার, লেভেল ৩, কক্ষ ৩১৭, আদালত ভবন সংলগ্ন, ট্যাংকির পাড়, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০ ০২-৪৯২৭৩২৮৮